নাটোরে রসুনের ক্ষেতে সাথি ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষ নজর কেড়েছে। এতে করে বাড়ছে কৃষকের আয়। বর্তমানে আবাদি জমি কমলেও বাড়ছে ফসলের চাহিদা। আবার সার কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় এক মৌসুমে একই জমিতে শুধু একটি ফসল আবাদ করে কৃষকের ব্যয়ভার মিটছে না।
বাড়তি আয়ের চিন্তা থেকেই রসুনের ক্ষেতে ভুট্টা আবাদ করে নজর কেড়েছে নাটোরের তেবাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মান্নান। তিনি রসুনের সারির মাঝে মাঝে ভুট্টার বীজ লাগিয়েছেন।
কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, এই মৌসুমে ভেদরার বিলে দেড় বিঘা জমিতে রসুনের আবাদ করেছি। ফসল উৎপাদনে সার কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় ব্যয়ভার মিটছে না। তাই অতিরিক্ত আয়ের জন্য রসুনের ক্ষেতে সাথি ফসল হিসেবে ভুট্টা আবাদ করেছি। এতে করে একই খরচে রসুন ও ভুট্টার আবাদ হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত বছরে দেড় বিঘা জমিতে শুধু রসুন বিক্রি করে আয় হয়েছিল খরচ বাদে ৫০ হাজার টাকা। এবার সাথি ফসল হিসেবে ভুট্টা বিক্রি করে অতিরিক্ত আরও ৩০ হাজার টাকা আয় আসবে বলে আশা করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে এ বছর জেলায় ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও অর্জিত হয় ১৮ হাজার ৫ হেক্টর। এখন পর্যন্ত কর্তন হয়েছে ২৪১ কেক্টর জমির রসুন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ আমার সংবাদকে জানান, দেশের সিংহভাগ রসুন উৎপাদন হয় নাটোর জেলায়। একসময় সাদা সোনা বলে খ্যাত রসুনের আবাদ কমে গেলেও বর্তমানে দাম বেড়ে যাওয়ায় সুদিন ফিরে এসেছে। তাই জেলাতে রসুনের সাথে সাথি ফসল হিসেবে বেড়েছে ভুট্টা, বাঙ্গী, তরমুজসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ। কারণ এখন রসুন উঠে গেলে জমিতে মাস খানেক দেরিতে সাথি ফসল পাওয়া যাবে।
ইএইচ