দেশের বেশিরভাগ কৃষক শীতকালীন পেঁয়াজ চাষ করেন। ফলে গ্রীষ্মকাল আসতে আসতে পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। বিদেশ থেকে আমদানির পরও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকায় কৃষি বিভাগ দেশে গ্রীষ্মকালেও পেঁয়াজ চাষের পদক্ষেপ নিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন (নাসিক এন-৫৩) পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে।
ইতোমধ্যেই চাষিরা খেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭০ বিঘা জমিতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করা হচ্ছে, পেঁয়াজের ফলন বাড়াতে কৃষি অফিস সব সময় কৃষকদের কারিগরি সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে লাখ টাকা আয় করছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য কৃষকরাও ঝুঁকছেন নতুন গ্রীষ্মকালীন নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে কোথাও পেঁয়াজ পরিচর্যা ও কোথাও পেঁয়াজ তুলত দেখা গেছে কৃষকে।
পেঁয়াজ চাষি, ধনেশ্বর, নাজির হোসেন, রাকিব চৌধুরী জানান, কম খরচে পেঁয়াজের অধিক লাভ হওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী তাঁরা। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষি অফিস প্রণোদনার মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন সহযোগিতা করছেন।
রহিম উদ্দিন ও করিম উদ্দিন জানান, এ সময় আমাদের কাজকর্ম তেমন না থাকায় পেঁয়াজের আবাদে গত কয়েকদিন ধরে একটানা দিনমজুরি করে যাচ্ছি। এখান থেকে যা মজুরি পাই তা দিয়েই সংসার চালাচ্ছি। তবে এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো হবে পেঁয়াজ চাষি মোটামুটি লাভবান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন জানান, কৃষি প্রণোদনের মাধ্যমে কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। এ উপজেলায় ৭০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। পেঁয়াজের ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করি কৃষক লাভবান হবে।
এআরএস