জমির মালিককে না জানিয়ে মাটি কাটার অভিযোগ

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৪, ০৩:২২ পিএম

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইটভাটার জন্য অবাধে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। জমির মালিকের অভিযোগ অনেক সময় জোর করে জমির মালিককে না বলেই প্রভাবশালী এই চক্রটি মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জমির প্রকৃত মালিক মো. আলি আল রাজি ইটভাটার মালিক মো. আবুল কালাম আজাদ (মানিক হাজী) ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমি ইট তৈরি ও রাখা এবং ব্যবহারের জন্য লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি এটা না করে ওই জমি থেকে মালিককে না জানিয়ে অনেক গভীর করে মাটি উত্তোলন করে নিজের ইটভাটার কাজে লাগিয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে জমির মালিকের লোকজনকে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী হুমায়ুন প্রমানিক বলেন, শুক্রবার জমির মালিক বাবু সরেজমিনে তিনি এসে তার জমিতে গর্ত করে মাটি কাটা হয়েছে বলে ভাটার লোকজনের সাথে এই বিষয়ে কথা বলছিলো আমাকে না জানিয়ে মাটি কেন কাটা হলো। তারপরে দেখছি ভাটার মালিক মানিক হাজির লোকজন আবার ভেকু দিয়ে গর্ত বন্ধ করে দিলো।

ভেকুর ড্রাইভার সুজন শেখ বলেন, আমরা এখানে দিন হাজিরায় কাজ করি ভাটার মালিক মানিক হাজি আমাকে মাটি কাটতে বলেছিলো তাই কেটেছি। আবার এখন গর্ত জায়গা ভরাট করে দিতে বলেছে করে দিয়েছি। জমির মালিক আর ভাটার মালিকের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা আমরা জানি না।

ভাটার মালিক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার সাথে ৫ বিঘা জমির চুক্তি হয়েছে। আমার এখানে উঁচু করে মাটি রাখা ছিল। জমির মালিক আলি আল রাজি বাবু গতকালকে এসেছিল বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার মাটি অন্যথায় সরিয়ে নিয়ে সমতল করে দিয়েছি। আমার এখানে কোন গাফিলতি নেই। জমির মালিক আমাকে আবার জমি যদি লিজ দেয় তাহলে নিতে রাজি আছি আর না দিতে চাই তাহলে জমি ফেরত দিয়ে দিবো।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক আমার কাছে অভিযোগ করলে বিষয়টি দেখবো।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক আলি আল রাজি বাবু জানান, আমি ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর দরখাস্ত দিবো।

ইএইচ