কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ মাঝিকে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ। এ সময় ধাক্কা দেয়া বালুবাহী বাল্কহেডটিও জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার অভিযান চালিয়ে নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার আলভি এলাকা মেঘনা নদী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভৈরব নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন মাঝিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ওসি।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৮ জন নিখোঁজ হয়। তার মধ্যে এক কিশোরী ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে গতকাল এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, সকাল ৮টা থেকে আমাদের ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে। দুপুর ১টার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুর্ঘটনা তলিয়ে যাওয়া নৌকাটিও শনাক্ত করা গেছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব, নৌ থানা পুলিশ কাজ করছে।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রায়সুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) এছাড়াও ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)।
ইএইচ