শরীয়তপুরের সখিপুরে নতুন থানা ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করছিলেন একদল শ্রমিক। এ সময় একের পর এক বেরিয়ে আসে বিশালাকৃতির ভয়ংকর সব সাপ। সাপগুলো গ্রিল বেয়ে ভবনের ওপরে উঠতে গেলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে থানা পুলিশসহ শ্রমিকদের মধ্যে।
সোমবার দুপুরে শরীয়তপুরের সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান সাপুড়ে ডাকেন সাপ ধরতে।
থানা পুলিশ ও কর্মরত শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, রোববার সখিপুর থানার নতুন ভবন নির্মাণের জন্য স্কাভেটর মেশিন দিয়ে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করলে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ। সাপগুলো থানার আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যে স্থান থেকে সাপ বেড়িয়ে এসেছে, সেই স্থানের কাজ বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। পরে আজ সোমবার দুপুরে থানার ওসি মাসুদুর রহমান সাপ ধরতে সাপুড়ে ডেকেছেন। সাপুড়ে এসে থানার বিভিন্ন স্থানে কার্বলিক অ্যাসিড ছিটিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি থানা চত্বর থেকে এখনও কোনো সাপ ধরতে পারেননি।
সাপ ধরতে আসা সাপুড়ে মিনু ঢালি আমার সংবাদকে বলেন, থানা চত্বরে সাপের উপদ্রবে আমাকে খবর দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখেছি এখানে বড় বড় অনেক সাপ রয়েছে। তবে আমি আসার পরে কোনো সাপ দেখতে পাইনি। সখিপুর চরাঞ্চল এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায়ই সাপ দেখা যায়৷ আমি এর আগে সখিপুর থেকে রাসেল ভাইপার সাপ ধরে প্রাণিসম্পদ অফিসারের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম। থানা চত্বরে কার্বলিক অ্যাসিড ছিটিয়ে দিয়েছি, আশা করছি সব সাপ চলে যাবে। সাপ ধরার চেষ্টা করছি।
নতুন ভবন নির্মাণ কাজের শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন আমার সংবাদকে বলেন, গতকাল মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করলে একের পর এক সাপ বেড়িয়ে আসে। সাপগুলো ৬ ফুট থেকে ১০ ফুট লম্বা। সাপগুলো পালানোর জন্য আবাসিক ভবনসহ অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে যায় সবাই। যে স্থান থেকে সাপ বেড়িয়ে এসেছিল, ওই স্থানের কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। দেখি সাপুড়ে কি করে!
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন থানা ভবনের কাজ করতে গেলে গতকাল থানা চত্বরের ভেতর সাপ দেখা গেছে। এরপর আজ সাপুড়ে ডেকেছি। কার্বলিক অ্যাসিড ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সাপুড়ে এখনও কোনো সাপ ধরতে পেরেছে কি না, সেটা বলতে পারব না।
ইএইচ