লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় যৌতুকের টাকার দাবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে বাজারে জনসম্মুখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামী একরামুল ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
রোববার বিকালে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় নিজের কাপড়ের দোকানে স্ত্রী মৌসুমী খাতুনকে বাবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন স্বামী একরামুল ও তার বড় ভাই এবং দোকানের মহিলা কর্মচারী।
এ ঘটনায় স্ত্রী মৌসুমী খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত একজনসহ ৩ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, একরামুল (৩০) ও এনামুল (৪০) এবং একরামুলের দোকানের অজ্ঞাত একজন মহিলা কর্মচারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহরম আলীর মেয়ে মৌসুমীর সাথে অভিযুক্ত একরামুলের ৮ বছর পূর্বে বিয়ে হয় এবং তাদের সংসারে ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। বিয়ের সময় একরামুলের পরিবার ৮ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা বিভিন্ন সময়ে জামাইকে ৬ লক্ষ টাকা দেন কিন্তু আরও দুই লক্ষ টাকার দাবিতে বিভিন্ন সময় স্ত্রী মৌসুমীকে বাবার বাড়িতে পাঠাতেন। অসহায় বাবা টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায় প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন পাষণ্ড স্বামী একরামুল।
এমতাবস্থায় যৌতুকের ২ লক্ষ টাকা ছাড়া বাড়িতে না উঠার শর্তে ৫ মাস পূর্বে সন্তানসহ স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন তিনি। গত ৩১ মার্চ বিকালে স্ত্রী মৌসুমিকে ফোন করে বাবার বাড়ি থেকে তার হাতীবান্ধা মেডিকেল মোরস্থ কাপড়ের দোকানে ডেকে এনে যৌতুকের টাকা চায় কিন্তু মৌসুমী বাবার অপারগতার কথা প্রকাশ করলে তার স্বামীর ভাই ও দোকানের মহিলা কর্মচারীর উসকানিতে একরামুল ক্ষিপ্ত হয়ে বাজারে জনসম্মুখে শাশুড়ি ও ৫ বছরের সন্তানের সামনে স্ত্রী মৌসুমীকে চর থাপ্পড়সহ এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে আহত করে। মৌসুমির আত্মচিৎকারে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ