ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদরাসাছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রের মা বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই ছাত্রের নাম মো. ইমাম হোসেন (১৩)। সে উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের খোকন খানের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুবিদপুর ইউনিয়নের মাওলানা সোহরাব আলী খানের হেফজ ও এতিমখানা মাদরাসায় হাফেজী পড়ার জন্য শিক্ষার্থী মো. ইমাম হোসেন ১ মাস ধরে ওই মাদরাসায় থাকতো।
গত ২ এপ্রিল রাতে মসজিদে তারাবি নামাজ পড়তে গেলে অন্য লোকের জুতা ফেলে দেয় পরে সেই জুতা যথাস্থানে এনে রেখে দেয়। জুতা ফেলানোর বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থীরা মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. জাহিদুল ইসলামের কাছে বলে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভোররাতে সেহরির সময় বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর মা তাহমিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে হুজুর যেভাবে মেরেছেন, কোনো পশুকেও এভাবে মানুষ মারে না। আমার ছেলে অন্যায় করলে আমাকে বললে আমি বিচার করতাম। ওরে এমন পিটানো হয়েছে সমস্ত শরীর দাগ হয়ে গেছে এছাড়া তার কোমরেও লাথি দিয়ে আহত করেছে। আমি নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা করেছি। আমি এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে হাফেজ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুষ্টামি করার করার কারণে আমি দু-চারটি হালকা বেত্রাঘাত করেছি। তা তেমন গুরুতর কিছু নয়। কিন্তু এখন তার অভিভাবকেরা আমার বিরুদ্ধে বাড়িয়ে বলছে।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ আলী বলেন, ওই শিক্ষার্থীর মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ