নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ বৃষ্টিতে সড়কে কাদা জমে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
এতে বিপাকে পড়েছেন সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও চালক- আরোহীরা যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা শঙ্কা নিয়ে পথ চলছেন তারা।
সরেজমিন (৭ এপ্রিল) রবিবার সকালে দেখা যায় লোহাগড়ার ব্যস্ততম লক্ষীপাশা- মহাজন সড়কের রাজুপুর এলাকা থেকে খলিশাখালী বটতলা পর্যন্ত সড়কসহ একাধিক সড়কে বৃষ্টির পর পড়ে থাকা মাটি কাদায় পরিণত হয়েছে। এতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গেছে। রাস্তায় চলাচলকারী মোটরসাইকেল আরোহীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
মোটরসাইকেল চালক শিমুল হাসান বলেন বৃষ্টিতে এই ব্যস্ত রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে গেছে। সড়কে মাটির স্তর পড়ে গেছে। এ বিষয়ে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
লক্ষ্মীপাশা আল্লাহর দান ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক গোলাম কিবরিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সকালে খলিশাখালি বটতলায় গিয়েছিলাম গোস্ত কিনতে রাস্তার অবস্থা খারাপ দেখে মোটরসাইকেল রেখে পায়ে হেঁটে বাড়িতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই আমার ক্লিনিকের ম্যানেজার ওই জায়গায় ২ দফায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মোটরসাইকেল ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ম্যানেজার গুরুতর আহত হয়।
সাহেব আলী নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, বৃষ্টির পর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে গাড়ি চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি বৃষ্টির পানিতে কাদায় পরিণত হয়ে তা পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
লোহাগড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র রাজিয়া সুলতানা বিউটি বলেন, এই সড়কটি দিয়ে মাটি নেওয়ার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদা সৃষ্টি হয়। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনে চলাচলকারী মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস এর নড়াইলের সমন্বায়ক শরিফুজ্জামান বলেন, কয়েক বছর ধরে লক্ষ্মীপাশা থেকে মহাজন সড়কের রাজুপুর নামক স্থানে নবগঙ্গা নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে ট্রাকে করে প্রভাবশালীরা মাটি কেটে এই রাস্তা দিয়ে রাতের আঁধারে নিয়ে যাচ্ছে। ট্রাক থেকে পড়া মাটি রাস্তায় পড়ে পরবর্তীতে বৃষ্টিতে প্রচুর কাঁদা সৃষ্টি হয় যার ফলে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সড়কটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। আমি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন আমি নতুন এসেছি আপনার মাধ্যমে প্রথম জানতে পারলাম। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরইউ