ঝালকাঠির নলছিটিতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবা সোহাগ মাঝির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়ের মা রেকসোনা বেগম প্রতিবাদ করলে পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করেন পাষণ্ড স্বামী।
রোববার বিকালে নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের মালোহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে রেকসোনা বেগম নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছেন।
রেকসোনা বেগম বলেন, আমার স্বামী সোহাগ মাঝি আমাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এমনকি আমার মেয়েকে ঘরে একা পেলে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। আমার মেয়ে আমার কাছে সবকিছু খুলে বললে আমি প্রতিবাদ জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে আমার ডান হাত ভেঙে দেয় এবং শরীর বিভিন্ন জায়গা জখম করে। এ ঘটনায় রোববার রাতে নলছিটি থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে যেতে বলেন।
ভুক্তভোগী মেয়েটি বলেন, বাবা বিভিন্ন সময় অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। বিষয়টি আমার মাকে জানালে তিনি প্রতিবাদ করেন। এতে বাবা ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে তাকে নির্মমভাবে মারধর করে। এর আগেও একবার সে একই ধরনের ঘটনা ঘটায়। তখন মা থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। ওই সময় বাবা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে মা তাকে ক্ষমা করে দেন এবং অভিযোগ তুলে নেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহাগ মাঝি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে আমি আমার স্ত্রীকে শাসন করেছি। তবে মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএইচ