কিশোরগঞ্জের হাওরের প্রবেশপথ বলা হয় নিকলী উপজেলাকে। হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলায় সারাবছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে।
তবে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বা এর পরে পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায় নি তেমন। সোমবার সরেজমিনে নিকলী হাওর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এখন শুষ্ক মৌসম তাই হাওরে পানি নেই বললেই চলে।
অন্যদিকে বৈশাখ মাস শুরু হওয়ায় সবাই ঘরে বোরো ফসল তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। এরকম কয়েকটি কারণে হাওরে পর্যটক শূন্য বলে মনে করছে স্থানীয়রা। নিকলী বেড়িবাঁধ এলাকায় সারাবছরই শহর বন্দর গ্রাম থেকে পর্যটকরা এসে ঘুরেফিরে আড্ডা দিতো। যার ফলে বেড়িবাঁধ এলাকায়, ফাস্টফুড, হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে উঠেছে।
কিন্তু এবার ঈদুল ফিতরের দিন বা ঈদের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও তেমন একটা পর্যটকদের চোখে পড়েনি। যার ফলে অনেকটা অলস সময় কাটাচ্ছে ফাস্টফুড, রেস্টুরেন্ট ও হোটেল মালিকরা। তা ছাড়া বেড়িবাঁধ এলাকায় গড়ে ওঠা স্থানীয় দোকানিরাও বসে দিন পাড় করছেন। কেউবা কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয় সালমান মুক্তাদির বলেন, সারাবছরই নিকলী হাওরে বিশেষ করে বেড়িবাঁধ এলাকায় পর্যটকদের বিশেষ আনাগোনা থাকে। কিন্তু এবার চিত্র ভিন্ন।ঈদ গেলেও পর্যটকদের দেখা মিলছে না।
স্থানীয় মোবারক বলেন, আমাদের নিকলীতে বর্ষায় তথা পানির সময় প্রচুর পর্যটক আসে। নৌকা দিয়ে ঘুরে ও বেড়িবাঁধ এলাকায় বসে আড্ডা দেয়। এখন পানি নেই তাই হয়তো পর্যটকশূন্য।
বেড়িবাঁধ এলাকায় ঘুরতে আসা আরমান বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় ও রৌদ্রের তাপ বেশি থাকায় এখানে এসে তেমন ভাল লাগছে না। বর্ষায় নতুন পানির আগমন হলে বেড়িবাঁধ এলাকায় আবার ঘুরতে আসবো পরিবার পরিজন নিয়ে তখন ভালো লাগবে।
এ বিষয়ে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার বলেন, নিকলীর হাওরে সাধারণত বর্ষায় পানির মৌসুমে পর্যটকরা ঘুরতে আসে। আমরা আশা করছি সামনে নতুন পানির আগমনের সাথে সাথে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। আমরা এখানে আগত পর্যটকদের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো সারাবছরের ন্যায়।
ইএইচ