তজুমদ্দিনে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৫

ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার বড় মলংচড়া ইউনিয়নের চর-রাইয়ানে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় আহত পাঁচজনকে শুক্রবার বিকালে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে বড়মলংচড়া ইউনিয়নের চর-রাইয়ানে চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ২৫-৩০ মিলে প্রতিপক্ষ বাহাদুর ভুঁইয়ার বসতঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় মো. হোসেন নামে একজন তুলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে।

কয়েক ঘণ্টাব্যাপী হামলা ও মারপিটের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. হোসেন (৩০), মো. ফরিদ (৫০), মো. জাহাঙ্গীর (৩২), বাহাদুর ভূইয়া(৫১), মো. দ্বীপু(২৬) কে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত ফরিদ ও হোসেন জানান, চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে সোহেল পাটওয়ারী, বাহারুল, মো. আলী, হারুন, তোফায়েল মাঝীসহ ২৫-৩০ মিলে এই হামলা চালায়।

বড়মলংচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. হাই চৌধুরী জানান, ইউনিয়নের বিরাট অংশ নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন উপজেলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। এড়াছা কিছু লোক মেঘনায় জেগে ওঠা নতুন চর-রাইয়ানে বসবাস করছে। বিভিন্ন সময় যারা চেয়ারম্যানের অনিয়মের প্রতিবাদ করেছে তারাই হামলার শিকার হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে বড় মলংচড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরনবী শিকদার বাবুলের দুটি মোবাইলে বারবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক বলেন, মলংচড়া ইউনিয়নে মারপিটের ঘটনা শুনেছি, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইএইচ