ঝিনাইদহে তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৮:১২ পিএম

ঝিনাইদহে তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুপুর হলেই যেন আগুনের ফুলকী বইতে শুরু করে। সকাল ৮টার পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে।

রাত ৮-৯ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।

তীব্র গরমে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। প্রকৃতির এমন আচরণে প্রাণ ওষ্ঠাগত। একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকেই।

শহরের খাজুরা এলাকার ভ্যানচালক নজরুল ইসলাম বলেন, খুব বেশি গরম পড়ছে। রাস্তায় ভ্যান চালানো যাচ্ছে না। গরমে মাথা পুড়ে যাচ্ছে।

হলিধানী এলাকার ইজিবাইক চালক শামীম হোসেন বলেন, গরমে জামা কাপড় সব ভিজে যাচ্ছে। সকালে গরম একটু কম থাকলেও দুপুরের পর অসহ্য গরম লাগে। বাইরে বের হওয়া যায় না। যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে কম। শহরের মুজিব চত্বরসহ কিছ কিছু জায়গায় রাস্তার পিচ গলে গাড়ির টায়ারের সাথে উঠে যাচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশীপুর গ্রামের কৃষক বিশারত আলী বলেন, বেশ কয়েকদিন হলো প্রচণ্ড গরম পড়ছে। বৃষ্টির দেখা নেই। গরমে ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। অনেক এলাকায় শ্যালো মেশিনেও পানি উঠছে না।

এদিকে, গরমের কারণে বেড়েছে তরমুজ ও ডাবের চাহিদা। বেড়েছে দামও। একশ টাকার নিচে ডাব মিলছে না। শহরের মুজিব চত্বরের ডাব বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, গরমে ডাব বিক্রি বেড়েছে, তবে রোদে দাঁড়িয়ে ডাব বিক্রি করতেও জীবন বেরিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া প্রচণ্ড গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ তাপজনিত রোগ। বিশেষ করে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বেশী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, গরম জনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে ও সুস্থ থাকতে হলে বেশী করে পানি পান করতে হবে। বাসি-পঁচা খাবার পরিহার করতে হবে। তাছাড়াও ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া যাবে না। রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। যথাসম্ভব ছায়া-শীতল স্থানে থাকতে হবে।

ইএইচ