সারাদেশের ন্যায় তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ উঠেছে ফেনীর জনজীবন। জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ধারণক্ষমতার চারগুণ রোগী চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে স্থানীয় জেনারেল হাসপাতালে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, গত এক সপ্তাহে ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
রোববার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০৪ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩২ জন। তারমধ্যে ২৫ জনই শিশু। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮০ জন এবং পুরুষ ওয়ার্ডে একই শয্যার বিপরীতে ৫৭ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন এসব রোগীরা। এরমধ্যে সিট না পেয়ে অধিকাংশ রোগীকে মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সেবিকা শ্যামলী রাণী বলেন, শনিবার সকাল থেকে প্রায় ৪০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। গত কয়েক দিনের গরমে রোগীর চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে। তারপরও আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা করছি৷
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দায়িত্বরত জ্যেষ্ঠ সেবিকা আনোয়ারা বেগম বলেন, গত ৩-৪ দিনে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ জন করে নারী ও শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। রোগীর চাপের সঙ্গে গরমের কারণে খুব কষ্ট হচ্ছে সবার।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আসিফ ইকবাল বলেন, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে রোগীর চাপ ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি। গরমের এই সময়ে নিউমোনিয়া, জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানা রোগ নিয়ে শিশু ও নারী রোগী ভর্তি হচ্ছেন বেশি। আমরা সাধ্যমতো রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে চেষ্টা করছি।
অন্যদিকে জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, শনিবার (২০ এপ্রিল) ফেনীতে সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ইএইচ