রাতের আঁধারে পদ্মা নদীর বালু লুট

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম

মানিকগঞ্জে পাটুরিয়া পদ্মা নদীর তীর থেকে রাতের আঁধারে চুরি করে বালু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মেসার্স কে.টি আর এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. তৌহিদুর রহমান খান হিমেলের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাটুরিয়া  ১নং ফেরি ঘাটের পশ্চিম পাশে ধুতরা মৌজায় থেকে অবৈধভাবে চুরি করে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে পদ্মা নদীর তীরে জমে থাকা বালু ১০ চাকার ড্রামট্রাকে বিক্রি করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের ফলে সরকারের ক্ষতি করছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। একদিকে নষ্ট করছে সড়ক ও জনপথের কোটি টাকার রাস্তা অন্যদিকে নদী থেকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার বালু। যার ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে সরকারি রাস্তা।

গাড়িতে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অতিরিক্ত বালু বোঝাই করে পরিবহন করার ফলে রাস্তা-ঘাট, দোকানপাট, অফিস-আদালত ধুলাবালুতে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলছে এই ঠিকাদারের লোকজন। এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না কেউ। রহস্যজনক কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নিচ্ছে না তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা।

তৌহিদুর রহমান হিমেলের ভেকুর কর্মচারী রুবেলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা রহিম খানের বালি নিতেছি। এই ঠিকাদারের ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তার ইজারা ছিল আরিচা ঘাটে, এখান থেকে আপনারা কীভাবে বালু নেন। একথা জানতে চাওয়ায় তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে চলে যান।

পাটুরিয়া নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আপনি অফিসে আসেন আমি ফোর্স পাঠিয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নিব।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বালু চুরি করে নেওয়ার বিষয় জানতে পেরে প্রতিদেককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

ইএইচ