গাইবান্ধার কামারজানীতে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জেরে গাইবান্ধা তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় গাইবান্ধার সাংবাদিক নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ দুই বছর ধরে গাইবান্ধার কামারজানীতে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিল ওই এলাকার বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, রানা,সাইফুল, মিল্টনসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ ঘটনায় গত ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি আনন্দ টিভিসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এর পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কামারজানী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর বাদী হয়ে বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন।
এদিকে মামলা হওয়ার পরেও তারা তাদের বালু উত্তোলন ও ব্যবসা চালিয়ে গেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদ আল হাসান একাধিক বার অভিযান চালিয়ে বালু পরিবহন কাজে ব্যবহৃত অন্তত ২০টি গাড়ি জব্দ করেন ও প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এতে বালু ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হলে তাদের মধ্য জাহাঙ্গীর আলম চলতি বছরের ২৮ মার্চ গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এর প্রায় এক মাস পরে বুধবার সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড ভুক্ত করা হয়। সন্ধ্যায় বিষয়টি গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি মিলন খন্দকার, ডেইলি ট্রাইবুনালের জেলা প্রতিনিধি মো. সুমন মিয়া ও নাগরিক ভাবনা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রিয়ন ইসলাম রকিকে আসামি করা হয়।
তিন সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হওয়ায় গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল ইসলাম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাবস) এর জেলা সংবাদদাতা সরকার মো. শহিদুজ্জামান, কালবেলার সাংবাদিক নেয়ামুল আহসান পামেল, বাংলাভিশনের ফিরোজ কবীর মিলন, নাগরিক টিভির আনোয়ার হোসেন শামীম, দৈনিক আমার সংবাদ ও এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি সুমন মন্ডল, প্রতিদিনের সংবাদের মুকুল মাসুদসহ স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তারা বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করা খুবই দুঃখজনক। পাশাপাশি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা থেকে নিঃশর্ত অব্যাহতির আহ্বান জানান তারা।
ইএইচ