টেন্ডার জমা দিতে বাধা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির উপর হামলা

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ০৯:৪৫ এএম

ফেনীতে টেন্ডার জমা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে আমান ফারহান ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।

সোমবার জেলার সড়ক ভবনে তাকে মারধর করে টেন্ডার জমা দিতে বাধা দিয়েছে অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী সেন্টু মিয়া এবং তার লোকজন।

অভিযুক্ত সেন্টু মিয়া জেলার সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং সেন্টু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী।

এ ব্যাপারে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

হামলার শিকার মো. আলী আক্কাস নামের ওই প্রতিনিধি দাবি, ছোট ফেনী নদীর উপর নির্মিত সোনগাজী-কোম্পানীগঞ্জ ব্রিজের টোলের টেন্ডার জমা দিতে ফেনী সড়ক ভবনে গেলে  সেন্টু ও টিপু নামের দুই ব্যক্তি আরও ৩০-৪০ জন লোক তাকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে সড়ক ভবনের নিচে নিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে।

এ সময় তার পকেটে থাকা মোবাইল, মানিব্যাগ, এবং টেন্ডারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, চেক, পে-অর্ডার, হিসাবের খাতা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর তাকে স্থানীয় সার্কিট হাউজ সংলগ্ন একটি চা দোকানে নিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আটকে রাখে।

সেখানে ২০-৩০ জন লোক তাকে পাহারায় রাখে এবং মারধর করে। যদিও শেষে সেন্টু এসে তার মানিব্যাগ এবং হিসাবের খাতা ফিরিয়ে দেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী-নোয়াখালী সংযোগ সড়কের সাহেবের ঘাট ব্রিজের টোল আদায়ে ইজারাদারদের কাছ থেকে সপ্তমবারের মতো টেন্ডার আহ্বান করে সড়ক ও সেতু বিভাগ ফেনী।

টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাতে আর কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা ছিল। এরপরও বিকাল ৩টায় টেন্ডার বক্স খোলা হলে শুধুমাত্র সেন্টু এন্টারপ্রাইজের একটি টেন্ডার আবেদন পাওয়া যায়।

এর মধ্যে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে টেন্ডার প্রদানে বাধা দেওয়ায় এটি বাতিল করে নতুনভাবে আরাবও টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে জানান স্থানীয় সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল।

কোম্পানীগঞ্জের মুচাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুর আলী বলেন, অন্যান্য ঠিকাদারদের টেন্ডার জমাদানে বাধা দিয়েছে সেন্টু এন্টারপ্রাইজের লোকজন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা সেন্টু মিয়া বলেন, আমি অসুস্থ। আজকে বাড়ি থেকে বের হই নাই। কেউ আমার বিরুদ্ধে হয়তো ষড়যন্ত্র করছে।

ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইএইচ