তীব্র লোডশেডিংয়ে লৌহজংবাসী অতিষ্ঠ, সমাধানে কর্তৃপক্ষের গড়িমসি

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। লৌহজং সহ সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে জনজীবনে বয়ে এসেছে তীব্র অস্বস্তি। অসহনীয় গরমে ছোট থেকে বড় সবাই কষ্ট ভোগ করছে। এদিকে লৌহজংয়ে আজ দুপুরে মোবাইলের মাধ্যমে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছ ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যার অনুভূতি ছিল ৪৭ ডিগ্রি সে.।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৮ বছর পর এই তাপমাত্রার সাক্ষী হলো। বাংলাদেশের মানুষ অতি গরম ও অতি ঠান্ডা সহ্য করতে পারেনা। বাংলাদেশের অঞ্চল নাতিশীতোষ্ণ। তাই এ দেশের মানুষ কোনো কিছুরই অতিরিক্ত সহ্য করার ক্ষমতা কম।

তীব্র গরমে ও বেশিরভাগ সময়ে লোডশেডিং থাকার ফলে হলদিয়ার বাসিন্দা আনন্দ ঘোষ জানান, আমরা যে কীভাবে বেঁচে আছি তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানে। এত গরম সহ্য করা যায়। আমি এমন গরম আর দেখিনাই। এমনিই গরমের জ্বালায় বাচিনা তারমধ্যে বিদ্যুৎ থাকেনা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ পাইনা। ১ ঘণ্টা থাকলে ৩ ঘণ্টা পাইনা।

লৌহজংয়ের বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন আমাগো লৌগহংয়ে বিদ্যুৎ কি জিনিস তাই ভুইলা যাইতাছি। ফ্রিজের জিনিস সব পানি ছাইড়া দিতাছে। প্রয়োজন হলেও ফ্রিজ খুলতে পারি না। আর গরমে তো মইরাই যাইতাছি। কি যে গরম পড়তাছে যা সহ্য করার মতো না। তারমধ্যে আবার বিদ্যুৎ থাকেনা। বিদ্যুৎ আমাগো এখন মনে হইতাছে সোনার হরিণ। আজকে লোডশেডিং আরো বাইড়া গেছে। সারাদনে মনে হয় সব মিলাইয়া ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাইছি। এই গরম আমরা সহ্য করে থাকতে পারতাম ইনশাআল্লাহ যদি বিদ্যুৎ সবসময় থাকতো।

লৌহজং উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম নিশীথ কুমারের সাথে লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমার সংবাদকে জানান, কি করবো ভাই বলেন, আমার যা চাহিদা তার কম পেলে লোডশেডিং তো হবেই। বর্তমানে আমার চাহিদা আছে ১৬ থেকে ১৮ মেগাওয়াট কিন্তু আমি একেক সময় একেকটি পাচ্ছি। যেমন কখনো ১২ মেগাওয়াট, কখনো ৭ মেগাওয়াট কখনো ১০ মেগাওয়াট।

তিনি বলেন, আমরা চাহিদার চাইতে কম পাওয়াতে লোডশেডিং করাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ কম পাওয়ার ফলে এক এলাকা বিদ্যুৎ দিয়ে আরেক এলাকা বিদ্যুৎ অফ রাখতে হচ্ছে। তাছাড়া লোডশেডিং করে আমাদের লাভ নেই। বিদ্যুৎ জমিয়ে রাখার জিনিস নয়। এটি উৎপাদন যা হবে তা সাথে সাথেই ব্যবহার করতে হবে।

বিদ্যুতের এরূপ করুন পরিস্থিতি কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি আমার সংবাদকে জানান, আমি আসলে উৎপাদনের বিষয়ে কোনো তথ্যই দিতে পারবো না। কারণ এ তথ্য আমার আওতায় নেই ৷ তবে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করছি, দেখি সমস্যা সমাধান হয় কিনা।

বিআরইউ