ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে কালো টাকা ছড়াচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মাসুম। এছাড়া তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মাইকিং, সংখ্যাধিক রঙিন পোস্টার ব্যানার টাঙাচ্ছেন এবং ট্রাকে ট্রাকে ব্যানার আর মাইকিং প্রচার চালাচ্ছে। এমনটিই অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী জে এম রশিদুল আলম রশিদ।
শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় দোয়াত কলম মার্কা প্রতীকের প্রার্থী জে এম রশিদুল আলম রশিদ আরও অভিযোগ করে বলেন, মিজানুর রহমান মাসুম ঝিনাইদহ শহরের একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার। এছাড়াও তিনি প্রতিবছর বিভিন্ন পণ্য মজুদ করে কালো টাকা আয় করছে। সেই কালো টাকা এখন ভোটারদের মাঝে বিলি করছে। কিছুদিন আগেও আমার নেতাকর্মীরা হাতে নাতে মাসুমের এক সমর্থককে টাকাসহ তাকে আটক করে। নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের মাঝে নগদ টাকা দিচ্ছে।
এছাড়াও নির্বাচনি বিভিন্ন আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে বলে আমি আশঙ্কা করছি। আমি এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের ব্যাপারে মিজানুর রহমান মাসুমের কাছে জানতে চাইলে, তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেণ এবং বলেন ভোট কেনার কোন প্রশ্নই ওঠে না। সব মিথ্যা কথা। কোন ভোটারকে আমি টাকা দিয়েছি এমন কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। শুধু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
মতবিনিময়কালে জে এম রশিদুল আলম রশীদ বলেন, জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে ঝিনাইদহ সদর উপজেলাকে সুদ ঘুষ দুর্নীতিবাজ মুক্ত করবো। ঝিনাইদহ সদরের সুধীজন এবং নির্বাচিত এমপিসহ এবং সকলের পরামর্শ নিয়ে ঝিনাইদহকে একটি স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
ইএইচ