টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পানির অভাবে গবাদিপশু পালন ও সংসারের কাজকর্মও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, পানির স্তর নিচে নামার কারণে হ্যান্ড টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। তবে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশা করছে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হ্যান্ড টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। গত মার্চ মাস থেকেই পানি ওঠা কমে যায়। আর এপ্রিলের শেষে এই সমস্যা তীব্র হতে শুরু করেছে। পানির সংকটের কারণে সামর্থ্যবান অনেকেই বাড়িতে মোটর বসিয়ে নিচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলা নাগরপুর নঙ্গীনাবাড়ি গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। অনেকে টিউবওয়েলের সঙ্গে মোটর বসিয়েছেন। তবে সেখানেও পানির দেখা মিলছে না। বর্তমানে টিউবওয়েলে পানি উঠে না।
উপজেলার কাঠুরী গ্রামের পরিস্থিতি একই। গ্রামটির অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। পানির সংকটের কারণে সংসারের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
কঠুরী গ্রামের রাজিব হোসেন বলেন, এক জগ পানি তুলতে কমপক্ষে ১০ মিনিট সময় লাগে। আশপাশের পুকুর ও খালেও পানি নেই। এমন অবস্থায় আমরা খুব কষ্টে আছি।
নাগরপুর, গয়হাটা, ভাড়রা, ভাদ্রা, মোকনা, পাকুটিয়া, দপ্তিয়র, সহবতপুর, বেকড়া, সলিমাবাদ, ধুবরিয়া, মামুদনগর এসব এলাকা ঘুরেও দেখা যায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। অনেক টিউবওয়েল একদমই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন মানুষ।
এ ব্যাপারে নাগরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আব্দুল আলীম জানান, সারাদেশেই পানির সংকট। পানির স্তর ৩০ ফুটের বেশি নিচে নেমে যাওয়ার কারণে হ্যান্ড টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। এজন্য আমরা এখন টিউবওয়েল আর সাবমার্সিবল মোটর বরাদ্দ দিচ্ছি। বৃষ্টিপাত না হলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।
ইএইচ