মানিকগঞ্জে শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নে বেড়িবাঁধকে উপেক্ষা করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সংবাদ গত ২৯ এপ্রিল দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ৩০ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনার সময় তিনি একটি ট্রাক জব্দ করে এবং কয়েক হাজার মিটার পাইপ বিনষ্ট করেন।
সরেজমিনে জানা যায়, ড্রেজার মালিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অভিযান পরিচালনার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পুনরায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে। তারা মানছে না কোন সরকারি আইন কানুন ও প্রশাসন। অবৈধ ড্রেজার মালিকরা দিন রাত সমানভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং হুমকির মুখে পড়ছে বেড়িবাঁধসহ মানুষের বসত বাড়ি।
বালু পরিবহনের জন্য অবৈধ ড্রামট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে রাস্তাঘাট ও বেড়িবাঁধ নষ্ট করে একদিকে মানুষের চলাচলে অযোগ্য করে ফেলেছে অন্যদিকে ধুলা-বালির কারণে মানুষের বাড়ি-ঘরে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ইউনিয়নের যমুনা নদীর পাড় ঘেঁষেই বেড়িবাঁধ ও মানুষের বসতবাড়ি উপেক্ষা করে প্রায় ৫টি গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ২০টি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
নিহালপুর গ্রামে মনির ও মুন্না দক্ষিণ তেওতা গ্রামে শ্যাম মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, জালাল উদ্দিন, বিশ্বজিৎ ও আবুল মিয়া, জাফরগঞ্জে সাতুরিয়া গ্রামে রুবেল ও মোশারফের বাড়ির সামনে থেকে হালিম, মুন্না ও টুকু, নান্নু মিয়া, রাকিব (রাকা), হাবিবুর মেম্বার, ফরহাদ ও হারুন বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম অভিযানেই ড্রেজার বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু অভিযানের পর ড্রেজার মালিকরা আরও বেপরোয়াভাবে ড্রেজার চালাইতে শুরু করেছে।
ড্রেজার ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম রাকার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, প্রশাসনতো অভিযান করবেই, তাই বলে আমাদের ড্রেজার বন্ধ থাকবে নাকি।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। গত অভিযানে একটি ট্রাক জব্দ করে কয়েক হাজার মিটার পাইপ বিনষ্ট করা হয়েছে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
ইএইচ