কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে গোপনে ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। প্রতারণার সময় আটককৃতরা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকদের পরিচয় দিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা আদায় করে আসছিল।
শনিবার সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময়ে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবহৃত ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্টাম্প, স্বাক্ষরিত সাতটি খালি ব্যাংক চেক উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন- ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়া সৈয়দ আয়াত উল্যাহ ও ইমরান হোসেন, ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মো. মোজাম্মেল হক, চাঁদা আদায়কারী মো. সাখাওয়াত হোসেন, গোপন ভিডিও ধারণ পরিকল্পনাকারী আব্দুর রহিম, ফাঁদে ফেলার বাসার মালিক মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন ও পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তাসনুভা আক্তার।
পুলিশ সুপার জানান, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার এলাকার এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে কল করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাসনুভা আক্তার। পরিকল্পনা করে ওই ব্যক্তিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার বালুতোপা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এ সময়ে ঘটনাস্থলেই ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখিয়ে শুরু হয় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কৌশল। প্রতারণার ভিডিও ছেলের মোবাইলে পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে প্রতারক চক্র। সম্মানহানির কথা চিন্তা করে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়।
পরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় এই প্রতারক চক্রটিকে।
ইএইচ