ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়ন বিতরণ না করে প্রধান শিক্ষক উধাও

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৪, ১২:৪২ পিএম

ঝিনাইদহের মহেশপুরের জিএইচজিপি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ না করেই বিশেষ একটি মহলের ইশারায় বিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের কয়েক জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে এসে ফিরে গেছেন।

বিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ১১, ১২ ও ১৩ মে মহেশপুর জিএইচজিপি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের দিন থাকলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকায় মনোনয়নপত্র বিতরণ বন্ধ রেখে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

গোপালপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন জানান, আমি ১১ ও ১২ মে সকালে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র নিতে বিদ্যালয়ে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণে আমাকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়নি।

আবু হাসান জানান, আমি পর পর দু’দিন বিদ্যালয়ে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র নিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় আমাকে ফিরে আসতে হয়েছে।

বিদ্যালয়ের কম্পিউন্টার শিক্ষক শাহাজান আলী জানান, ভোটার তালিকায় অনেক ভুল ত্রুটি থাকার কারণেই নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়নি। তাছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জরুরি কাজে ঢাকায় গিয়েছেন।

মহেশপুর জিএইচজিপি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে কয়েক বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

মহেশপুর জিএইচজিপি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার বাহাউল ইসলাম জানান, গত ৩০ এপ্রিল আমাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএইচজিপি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি নির্বাচনের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান কী কারণে মনোনয়নপত্র বিতরণ না করেই বিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেলেন তা আমার জানা নেই।

মহেশপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল জানান, জিএইচজিপি পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান আমার কাছ থেকে কোন ছুটি নেয়নি। তবে তিনি কী কারণে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ না করেই চলে গেলেন তা আমার জানানেই।

তিনি আরও জানান, আমার কাছে কয়েকজন মনোনয়নপত্র নেওয়ার জন্য ফোন করেছিলেন কিন্তু আমি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানের কাছে কয়েকবার ফোন করেছিলাম তিনি আমার ফোনটি রিসিভ করেননি।

ইএইচ