বাগেরহাটে ৪১ জন ক্লাস্টার সদস্যের মাঝে ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্যোক্তাদের হাতে ঋণের মঞ্জুরিপত্র তুলে বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক এস.এম হাসান রাজা।
রুপালী ব্যাংক পিএলসি বাগেরহাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোল্যা মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মনজুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক সুকুমার রায়, জনতা ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক দেবদাস সরকার, অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক বিপুল মন্ডল।
এর আগে এদিন সকালে রুপালী ব্যাংকের আয়োজনে সিএসএসএমই খাতে ক্লাস্টারভিত্তিক অর্থায়ন বৃদ্ধিবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় ২১টি ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সিএমএসএমই খাতে ঋণপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালা শেষে উদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায়, সিএমএসএমই খাতে ক্লাস্টারভিত্তিক অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্য নানা উপায় বর্ণনা করা হয়। গুচ্ছ পদ্ধতিতে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের আরও বেশি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক এস.এম হাসান রাজা বলেন, উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্লাস্টার পদ্ধতিতে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছে। এই পদ্ধতিতে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে একই ধরনের যেসব ব্যবসায়ী রয়েছেন, তাদেরকে একত্রিত করে ঋণ প্রদান করা হবে। তারা খুব সহজ শর্তে ঋণ পাবেন, যাতে তারা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন।
ব্যবাসায়ীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা বলেন, অনেকের মধ্যে ঋণ পরিশোধে অনীহা রয়েছে। ব্যাংকের টাকা পকেটে ঢুকলে মনে করেন আর ফেরত দেওয়া লাগবে না। বিষয়টা ঠিক না। আমার আপনার জমানো টাকাই ব্যাংক ঋণ হিসেবে গ্রাহকদের দিয়ে থাকেন। আপনি যদি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করেন, তা হলে ব্যাংক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আপনার নিজের আমানতও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের ঋণ নেওয়া এবং পরিশোধের ক্ষেত্রে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান নির্বাহী পরিচালক এস.এম হাসান রাজা।
ইএইচ