চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবারও থাকছে না ক্যালেন্ডার, আম পাকলেই পাড়া যাবে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৪, ০৬:৩১ পিএম

দেশের সর্বপশ্চিমের সীমান্ত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের রাজধানী খ্যাত। এ বছরও থাকছে না আম ক্যালেন্ডার, পরিপক্ব হলেই বাজারজাত করা যাবে সুমিষ্ট রসালো আম।

বৃহস্পতিবার ম্যাংগো ক্যালেন্ডার প্রণয়ন এবং নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদন, বিপণন, পরিবহন ও বাজারজাতকরণের লক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সভায় অংশগ্রহণকারী কৃষি কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, চাষি, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন।

তিনি বলেন- গেল তিন বছর এই জেলা আম পাড়ার কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। এবারও আম পরিপক্ব হলেই গাছ থেকে নামিয়ে বাজারজাত করা যাবে, আমে কেনো ধরনের কেমিকেল মেশানো যাবে না। সকল ধরনের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হবে, জেলা ও উপজেলা মনিটরিং কমিটি বাজার মনিটর করবে, সেই সঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার তদারকি করবে। অপরিপক্ব আম বাজারে তুললে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসন আয়োজিত সভাটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও কম খরচে ঢাকায় আম পরিবহণের জন্য আগামী ১০ জুন থেকে রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী থেকে পদ্মা রেল সেতু দিয়ে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে করে ঢাকায় আম পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।  

সভায় আরও বক্তব্য দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান, রেলওয়ে চিফ কমার্সিয়াল ম্যানেজার (পশ্চিম) সুজিত কুমার বিশ্বাস, রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক, ভোলাহাট আম ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুনসুর আলী, আম ব্যবসায়ী ইসমাইল খান শামীমসহ অন্যরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার সভায় জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫ উপজেলায় চলতি মৌসুমে মোট আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন। তবে আবহাওয়াগত কারণে এবার হয়ত কিছুটা কম উৎপাদন হতে পারে।

ইএইচ