দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে প্রতারক আটক

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম

সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার কথা বলে দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। টাকা হারিয়ে চাকরি না পেয়ে নিঃস্ব প্রায় ২৫টি পরিবার। অবশেষে প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

টাকা উদ্ধারসহ প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

জানা যায়, প্রায় দেড় বছর পূর্বে উপজেলার ঘুগী-চরপাড়া এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার জাল ফেলে নিজেকে এনএসআইয়ের এডি পরিচালক পরিচয় দেয় এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষকে নিজের ভুয়া পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র এবং বেতনের রশিদসহ বিভিন্ন কাগজ পত্র দেখায়। এতে করে সাধারণ মানুষ সহজেই তাকে বিশ্বাস করে।

এক পর্যায়ে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে স্থানীয় যুবকদের চাকরি দেয়ার কথা বলে অনন্ত ২৫ জনের কাছ থেকে ১০ থেকে ২৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়। এছাড়া আরও একজনের কাছ থেকে স্বর্ণের ব্যবসার কথা বলে ৭০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

দীর্ঘদিন পর রোববার রাতে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি এলাকায় প্রতারক হারুন অর রশিদ তার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকজন পাওনাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে। পরে মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে নিয়ে আসে।

সোমবার সকালে এক পর্যায়ে প্রতারক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পাওনাদাররা তাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।

এদিকে প্রতারকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও পরিবারের কেউই আসেনি। পরে পাওনাদাররা ৯৯৯ ফোন করে হারুনকে পুলিশে সোপর্দ করে।

বানাইল ইউপি সদস্য ফয়সাল খান জানান, অভিযুক্ত নিজের এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনিও তার শাস্তি চেয়েছেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ