যশোরের অভয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ের লাঠির আঘাতে মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের মোল্যাপাড়া এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুন্নী খাতুন (২০) উপজেলার মাগুরা গ্রামের জসিম উদ্দিন মোল্যার মেয়ে। এ ঘটনায় নিহত মুন্নীর মা অভিযুক্ত মরিয়ম বেগম (৫০) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, মেয়ে মুন্নীকে বিয়ে দিয়েছিলেন তার মা-বাবা। কিছুদিন পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে বাবার বাড়িতে থাকতেন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে দেরি করে ওঠা মায়ের সঙ্গে মুন্নীর ঝগড়া হয়। প্রতিবেশীকে গোবর দেওয়া ও থালাবাসন ধোয়াকে কেন্দ্র করে মা মেয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে মরিয়ম বেগম তার হাতে থাকা ধানের খড় পরিষ্কার করা বাঁশের লাঠি (কান্দল) দিয়ে মেয়েকে আঘাত করতে উদ্যত হন। একপর্যায়ে মায়ের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মেয়েকে আঘাত করলে নাকমুখ দিয়ে রক্ত উঠে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছোট বোন জান্নাতুল আক্তার তিন্নি বলেন, ঘটনা সোনার সঙ্গে সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে আসি। এসে দেখি খবর পেয়ে অভয়নগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আমার বড় বোনের লাশ উদ্ধার করেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে মায়ের লাঠির আঘাতে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরএস