পূবাইলে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

পূবাইল (গাজীপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানা এলাকার হায়দারাবাদ স্বরুপদিরটেক জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আমির হামজার বিরুদ্ধে মক্তবে পড়তে আসা ৭ বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিশুটির স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে ওই শিশুটি মক্তবে প্রাইভেট পড়তে গেলে মসজিদের মুয়াজ্জিনের কক্ষে ডেকে নেয় ওই শিশুকে। পরে জোরপূর্বক যৌন হেনস্তাকালীন শিশুর চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়দের সহায়তায় মুয়াজ্জিনকে আটক করে শিশুর পরিবার।

এ সময় খবর পেয়ে মসজিদ কমিটি ওই শিশুর পরিবারকে বিচারের আশ্বাসে অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

অভিযুক্ত মোয়াজ্জিন নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানার শরীফপুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। চাকরির সুবাদে মসজিদ কেন্দ্রিক নির্মিত একটি কক্ষে অস্থায়ী বসবাস করতেন অভিযুক্ত আমির হামজা।

স্থানীয়রা জানান, এর আগেও মসজিদে এমন একাধিক ঘটনা ঘটলেও মসজিদ মাদরাসা কমিটির ছত্রছায়ায় অজানা কারণে পার পেয়ে যান অভিযুক্তরা।

স্থানীয়রা বলেন, ওইসব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না। ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও শিশুর পরিবার স্থানীয়দের কাছে বিচার চেয়ে বিচার না পেয়ে গতকাল (২২ মে) থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন আমির হামজার মুঠোফোনে কল করে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কল কেটে দেন।

অভিযুক্ত মসজিদ কমিটির সম্পাদক নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করলে তিনি কল ধরেননি।

অপরদিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি মহসিন মুঠোফোনে জানান, মোয়াজ্জিন আমির হামজাকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে চলে যেতে সহায়তা করেন কমিটির সেক্রেটারি।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা গ্রহণ করে পূবাইল থান পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাসির উদ্দীন আমার সংবাদকে জানান, অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চলছে এর সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ