সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন সংলগ্ন মেসার্স সরকার এন্টারপ্রাইজের সামনে ৭১ টিভির বেলকুচি ও দৈনিক আমার সংবাদের বেলকুচি প্রতিনিধি উজ্জ্বল অধিকারীর ওপর শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবু এবং পৌর এলাকার ইসলামপুর (রাজবাড়ী) মহল্লার সোহেল আকন্দ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিলভিয়া পারভীন মিঠুর ছেলে নীরবের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারী ও তার সাথে থাকা অতুল কুমার হলদারকে (৩৮) বেধড়ক মারপিট করে এবং সাংবাদিক উজ্জ্বলের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এদিন রাতেই সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারী বাদী হয়ে শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবুসহ ১১ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি কেউ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে দরকারি কাজে শাহজাদপুর পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন মেসার্স সরকার এন্টারপ্রাইজের সামনে অতুল কুমার হলদারকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারী। এ সময় শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবু এবং পৌর এলাকার ইসলামপুর (রাজবাড়ী) মহল্লার সোহেল আকন্দ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিলভিয়া পারভীন মিঠুর ছেলে নীরবের নেতৃত্বে ইয়ামিন (২৫), নাহিদ (২৫), সায়েম (২৯), সুমন (২৪), হৃদয় (২৬), শিহাব (২৮), রবিন (৩০), চঞ্চল (২৮) ও কাঞ্চন (৩২) সহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের সংবদ্ধ একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে এসে সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারীকে হুমকি দেয়। উজ্জ্বল এর প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়িভাবে তাকে ও অতুলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় সন্ত্রাসী ওই দল সাংবাদিক উজ্জ্বলের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারী তার ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান, থানার ওসি আসলাম হোসেন, গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ৭১ টিভির আহত সাংবাদিক উজ্জ্বল অধিকারীর সার্বিক খোঁজখবর নেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ইএইচ