ঘূর্ণিঝড় রেমাল

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টি: প্রস্তুত ৯২ আশ্রয়কেন্দ্র

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৪, ০৯:০০ পিএম

পটুয়াখালীর দুর্যোগ কবলিত এলাকা রাঙ্গাবালীতে সারাদিন রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করলেও শেষ বিকাল থেকে শুরু হয় হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সে সঙ্গে ছিল মাঝারি বাতাস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে পায়রা সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন উপকূলে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় পায়রা বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়।

জানা গেছে, রাঙ্গাবালীর ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে চালিতাবুনিয়া ও চরমোন্তাজ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় এই এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ লাগোয়া বসতিরা নির্ঘুম রাত্রিযাপন করেন। এই উপজেলার মানুষজন কৃষি এবং মৎস্য পেশার উপর নির্ভরশীল।

গত ২০ মে থেকে দেশের জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। যে কারণে উপকূলে গভীর সাগরে মাছ ধরার ট্রলার মৎস্য ঘাটগুলোতে নোঙর করা। আর সদ্য বোরো ফসল তুলে নেয়ায় কৃষিখাতেও এই মুহূর্তে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অজিৎ দেবনাথ বলেন, ইতোমধ্যে ৯২টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও শুকনো খাবার ও গোখাদ্য সংরক্ষণে রয়েছে।

ইএইচ