ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নদী-সাগর উত্তাল: ঝড় হাওয়াসহ বৃষ্টি

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ১১:৫৬ এএম

৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পায়রা সমুদ্রবন্দর হতে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল রেমাল। এর প্রভাবে সকাল থেকেই উপকূলে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি কখনোবা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সে সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়া। বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ার সাথেই সাগর ও নদী উত্তাল রয়েছে।

গতকাল রাত থেকেই সতর্কতা বার্তা প্রচার চলমান রেখেছে উপজেলা প্রশাসনসহ সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। তবে প্রচারণা চালালেও গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপস্থিতি নজরে পড়েনি। এদিকে রাঙ্গাবালীতে ১৬ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন মানুষ। যার ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

দুর্যোগ কবলিত এলাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়া এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস্য ও কৃষি পেশার উপর নির্ভরশীল। এই এলাকার মানুষদের বড় একটি অংশ গভীর সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ২০ মে দেশীয় জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। যে কারণে এই মুহূর্তে গভীর সাগরে মাছ আহরণের সকল নৌযান তীরে অবস্থান করছে। যে কারণে এসব মানুষদের নিয়ে শঙ্কা কম। একই সাথে রবি শস্য কৃষকরা ঘরে তুলে নেয়ায় ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

দুর্যোগ এলেই রাঙ্গাবালী উপজেলার দুইটি ইউনিয়ন সব চেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। যার একটি চালিতাবুনিয়া।  এই ইউনিয়নটিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ নাজুক থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেলেই তলিয়ে যায় তিনটি গ্রাম। একই চিত্র চরমোন্তাজ ইউনিয়নের।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ হতে বলা হয়েছে, কলাপাড়া এবং রাঙ্গাবালীতে ২৩৪ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩১ টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সে সঙ্গে সংরক্ষণে রয়েছে শুকনো খাবার ও গোখাদ্য।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আজিজুর রহমান বলেন, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল থেকেই বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় গঠন করা হয়েছে কমিটি।বন্দরে থাকা মাদার ভেসেল বহিঃনোঙরে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছে এবং লাইটার  জাহাজসহ অন্যান্য নৌযান নিরাপদে স্থানে রাখা হয়েছে।

বিআরইউ