ঘূর্ণিঝড় রেমাল

মনপুরায় নিম্নাঞ্চল জোয়ারে প্লাবিত, আশ্রয়কেন্দ্রে দলবেঁধে ছুটছে মানুষ

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে মূল ভূখণ্ডের বেড়িবাঁধ বাহিরের নিম্নাঞ্চল ২-৩ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের গতি বৃদ্ধি পায় ও ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। এদিকে বাতাসের গতি বৃদ্ধি ও মেঘনায় পানি বেড়িবাঁধ উপচে প্রবাহিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারা দ্রুত দলবেঁধে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে দিকে ছুটতে শুরু করে।

এদিকে বিকাল সাড়ে ৫টায় বাতাসের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়ন ও ১নং মনপুরা ইউনিয়নের পূর্বপাশের ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ উপচে মেঘনার পানি প্রবাহিত হয়। এছাড়াও কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখা গেছে।

এছাড়াও উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন নবগঠিত ৫নং কলাতলী ইউনিয়ন চারপাশে বেড়িবাঁধ না থাকায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। সেখানে রোববার বিকালে মেঘনায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৩-৪ ফুট জোয়ারের প্লাবিত হয়েছে বলে মুঠোফোনে জানান কলাতলী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার।

সরেজমিনে সকাল থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর, চরযতিন, চরফৈজুদ্দিন, কুমিরখালীর পূর্বপাশে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবাহিত হয়। এতে ওই এলাকার ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষয়ক্ষতি হয়। জোয়ারের পানিতে হাজিরহাট ইউনিয়নের বেড়ির বাহিরে ৩টি ঘর ভেঙে পড়ে।

এছাড়াও ১নং মনপুরার ইউনিয়নের পূর্ব আন্দির পাড় ও রামনেওয়াজ লঞ্চঘাট এলাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়।

এ ব্যাপারে হাজিরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, হাজিরহাটের পূর্বে পাশে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধের বাহিরে ৩টি ঘর ভেঙে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জিও ব্যাগ ফেলে বেড়িবাঁধ রক্ষার জন্য জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা মনপুরায় অবস্থান করে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ করছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা সকলকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

ইএইচ