ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ফেনীতে প্রস্তুত ৭৬ আশ্রয়কেন্দ্র

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম

ফেনীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় ৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওইসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

খোলা হয়েছ স্থানীয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এবং উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে এবং আলাদা দুটি  কন্ট্রোল রুম।

রোববার বিকালে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী নেতৃত্বে উপকূলীয় অঞ্চল পরিদর্শন শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্থানীয় জেলা প্রশাসক মুসাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনীর পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান পিপিএম ও সোনাগাজী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন।  

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় নদীগুলোতে পানি বাড়েনি। তবে,জেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সভায় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট সদস্য, সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

সভায় রেমাল মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ফেনী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সিনিয়র সহকারী কমিশনার আবদুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও কন্ট্রোল রুমের ০১৭৬৬-৫৯৮২৫৯ নম্বরে কল করে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা যাবে।

অপরদিকে রেডক্রিসেন্ট সোনাগাজী উপজেলার টিম লিডার শান্তি রঞ্জন কর্মকার বলেন, রেড ক্রিসেন্টের ১শ টিম প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি টিমে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা সদস্য রয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সোনাগাজী উপজেলার ৪৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে উপকূলীয় ৪টি ইউনিয়নকে (চরদরবেশ, চরচান্দিয়া, সোনাগাজী ও আমিরাবাদ) ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাঠে থাকবে দুই হাজার সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবক, পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, স্কাউট সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় ৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য। জরুরি ত্রাণকার্যে ব্যবহারের জন্য ৪০ লাখ টাকা ও ৫০ টন চাল গচ্ছিত রাখা হয়েছে।

ইএইচ