‘তুফান আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী, এখন আর ভয় পাই না’

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৪, ০৩:০০ পিএম

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এখনো রেমালের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ বেড়েই চলেছে সাথে রয়েছে প্রচুর বৃষ্টি।

এদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের শূন্যেরচর গ্ৰামের আসকা বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় সরজমিনে গেলে মো. আব্বাস উদ্দিন (৭০) বলেন, তুফান আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী, আমরা যামু কই, আমাদের চারো কিনাদ্দি নদী! একমাত্র আল্লাহর উপরেই আমাদের ভরসা।

এ সময় তিনি ১৯৯১ সালের ভয়াল বন্যার কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের হাতিয়ায় একানব্বই এর বন্যার সময় অনেক মানুষকে ভাসায় লই গেছে, মইরা গেছে অনেক মানুষ। অন আর ভয় হাইনা। আল্লাই রাইখলে থাকবো নইলে মরে যাব।

এদিকে গতকাল থেকেই রেমালের তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ২০টি গ্ৰাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার দুপুর ও রাতের জোয়ারের পানিতে হাতিয়ায় নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বেশি উচ্চতায় প্রবাহিত হয় এতে উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

হাতিয়ায় এখন ও ঘূর্ণিঝড় সতর্ককরণ মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। দিনব্যাপী সিপিপির সদস্যরা বিভিন্ন হাট বাজার বেড়িবাঁধের ধারে এই মাইকিং চলছে।

এ সময় বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়ে নেয়ার জন্য বলা হচ্ছে। জানা গেছে, হাতিয়ায় সিপিপির ১৭৭টি ইউনিটের সব ইউনিটের সদস্যরা এ মাইকিং সম্পৃক্ত রয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস চাকমা জানান, হাতিয়াতে ২৪২ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাতিয়ার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সাথে উপজেলা পরিষদের কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে।

প্লাবিত এলাকাগুলো সম্পর্কে আমরা খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ইএইচ