ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ৩৯টি মৃত হরিণ উদ্ধার

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ১২:৩৯ এএম

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে আপাতত নিস্তেজ হয়ে গেছে উপকূলীয় অঞ্চল। লোকালয়, জনজীবন, ফসল ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তের খবর সহজে জানা গেলেও সময়ের সঙ্গে আস্তে আস্তে আসছে সুন্দরবন ও বন্যপ্রাণির প্রাণহানির খবর।

সুন্দরবনে গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি অনেক বন্যপ্রাণি হতাহতের আশাঙ্কা শুরু থেকেই ছিল। উপকূলে তাণ্ডব চালানোর একদিন পর মঙ্গলবার প্রায় অর্ধশত বন্যপ্রাণির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৯টি মৃত হরিণ, একটি মৃত বন্য শুকর ও ১৭টি আহত হরিণ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে বন বিভাগ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমালের ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গাছপালা ভেঙেছে, অনেক প্রাণি মারা গেছে কিংবা আহত হয়েছে, প্রাণিদের খাবার পানির জলাধার তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো জলাধার (পুকুর) বিলীনও হয়ে গেছে।

খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, সুন্দরবনে যে ক্ষতি হয়েছে সেখানে আমার মনে হয়েছে উদ্ভিদের তুলনায় প্রাণিকূল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। সিডরের সময় যেমন বেশি গাছপালা পড়ে গিয়েছিল, তখন প্রাণীকুলের অতটা ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কিন্তু ২৬ তারিখ সকাল থেকে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছে। 

ইএইচ