সিলেটে আকস্মিক বন্যা, প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম

অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়কের দু‍‍`টি পয়েন্টে যথাক্রমে গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন হাওরাঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ।

উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়ন, লেঙ্গুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলংয়ে প্লাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ ভলান্টিয়ারসহ আকস্মিক বন্যাজনিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২:০০ টার রিডিং অনুযায়ী  গোয়াইনঘাট ব্রীজ পয়েন্টে পানির লেভেল ১০.১১ মিটার (বন্যাসীমা: ১০:৮২) এবং সারিঘাট পয়েন্টে পানির লেভেল ১২.৮৮ ( বিপদ সীমা: ১২.৩৫)। যা বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অফিসারগণসহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বন্যা দুর্গত ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা সমূহে জনপ্রতিনিধিগণসহ সরেজমিনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

যে সকল এলাকায় ঝুঁকি পূর্ণ ও প্লাবিত হতে পারে সে সকল এলাকার ঘরবাড়ি, বাজার ও দোকান সমূহ থেকে জানমাল নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে।

উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ৫৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবন প্রবণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণকে দ্রুত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে পানি বাড়ছে। উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অফিসারগণ ( পিআইও, কৃষি অফিসার, মৎস্য অফিসার, প্রাণিসম্পদ অফিসার)সহ জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বন্যা দুর্গত ও ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা সমূহে জনপ্রতিনিধিগণসহ সরেজমিনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মানুষের জানমাল নিরাপত্তায় ১৩টি ইউনিয়নে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

বিআরইউ