ফেনীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জালভোট দেয়ায় এক সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও অপর এক পোলিং অফিসারসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলার ফেনী পিটিআই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোট দেয়ায় এক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও অপর এক পোলিং কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমান তাদের আটক করেন।
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ছনুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল চন্দ্র দাস জানান, জালভোট দেয়ায় সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহআলম ও পোলিং কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন মানিককে আটক করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
এ সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের পোলিং এজেন্ট মানিককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শাহআলমকে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা যায়, ফেনী সদর উপজেলার ১৪০ কেন্দ্রের ১ হাজার ৬৫টি বুথে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৪ জন।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল (দোয়াত কলম), অ্যাডভোকেট মনজুর আলম (মোটরসাইকেল), ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এ.কে শহীদ উল্যাহ খোন্দকার (টিউবওয়েল), গোলাম কিবরিয়া (উড়োজাহাজ), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুর্শিদা আক্তার (কলস), আঞ্জুমান আক্তার (প্রজাপতি) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জালভোট দেয়ার অভিযোগে সদর উপজেলার সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে আরও ৬ কিশোর ও সোনাগাজী উপজেলার মাস্টার মজিবুল হক একাডেমি কেন্দ্র থেকে এক কিশোর এবং দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৪ কিশোর ও একই উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
আরএস