বাগেরহাটের রামপালের কাশিপুর গ্রামে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে মা ও মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গৃহবধূ রাশিদা বেগম (৪০) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত হলেন কলেজ পড়ুয়া কন্যা কেয়া আক্তার (২২)। এ ঘটনায় বুধবার (২৯ মে) রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গৃহবধূর স্বামী মো. খলিলুর রহমান।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কাশিপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের কলেজ পড়ুয়া কন্যা কেয়া আক্তার রাস্তা দিয়ে চলার সময় একই গ্রামের মোল্লা শওকতের ছেলে মোল্লা খোকন, মোল্লা হোসাইন প্রায়ই সময় উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এ নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ খোকন, হোসাইন, সুইটি বেগম ও জোসনা বেগম মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল অনুমান ৯ টার সময় দেশীয় অস্ত্রস্বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খলিলুর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা বাঁধা দিলে কন্যা কেয়াকে চুলের মুঠি ধরে মারপিট শুরু করে। ওই সময় তার গায়ের ওড়না খুলে ফেলে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় বাঁধা দিলে তার স্ত্রী রাশিদাকে লাঠি দিয়ে সজোরে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। এরপর সকল আসামীরা এলোপাথাড়ি কিল, ঘুসি ও লাঠির আঘাতে তাদের জখম করে ফেলে রেখে চলে যায়। ওই সময় এ ঘটনায় কোন অভিযোগ বা মামলার করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত খোকন মোল্লার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগের লিখিত কপি পেয়েছি। তদন্ত করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএস