নবাবগঞ্জ বান্দুরা সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট

নবাবগঞ্জ দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৪, ০৪:০২ পিএম

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট করেছে উপজেলার সিএনজি চালকরা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা গাড়ি বন্ধ করে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ঢাকা-বান্দুরা সড়কে অবস্থান নেয়। তারা দুপুর ১টায় ঢাকা-নবাবগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধন করে চাঁদা বন্ধের দাবি জানায়।

চালকদের অভিযোগ, বান্দুরা স্ট্যান্ডে প্রায় অর্ধশতাধিক সিএনজি চলাচল করে। দিনে প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা নেয় ওই এলাকার কালা মামুন। এছাড়া ঢাকা থেকে যাতায়াত করা সিএনজি প্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করছে। দাবিকৃত টাকা দিতে না চাইলে সিএনজি চালকদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে থাকে।

সিএনজি চালক ইউনুস বলেন, প্রতিদিন টাকা না দিলে তাদের গাড়ি ওই সড়কে চলতে বাধা দেয়।

সিএনজি চালক সমিতির সভাপতি মো. মিলন বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেশি, যাত্রী কম হওয়াতে প্রতিদিন মালিককে জমার টাকা দিয়ে চলতে আমাদের এমনিই কষ্ট হচ্ছে। আমরা এ ধরনের চাঁদা থেকে মুক্তি চাই। আমরা এ ধরনের জুলুম থেকে বাঁচতে চাই।

চাঁদা আদায়ের দায়িত্বে থাকা মামুন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান হুমায়ন কবিরের নির্দেশে টাকা তুলেছি। আমাকে প্রতিদিনের মজুরি দেয়া হয়।

বান্দুরা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির বলেন, মামুন দীর্ঘদিন ধরেই এদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। কিছুদিন আগে মামুন ও তার লোকজন সিএনজি চালকদের মারধরও করেছে। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। মামুন নিজেকে দায়মুক্ত করতে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা কথা বলছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ইজারার বাইরে কেউ চাঁদা নিতে পারবে না। এ রকম কিছু করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইএইচ