তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

বাগেরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৪, ১০:৪৪ পিএম

সুন্দরবনের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আগামী তিন মাসের জন্য দর্শনার্থী ও বনজীবিদের প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ।

আগামীকাল ১ জুন থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বনের দুয়ার। এই সময়ে বনজীবি, সাধারণ জনগণ ও দর্শনার্থীরা বনে প্রবেশ করতে পারবেন না।

জুন থেকে থেকে আগস্ট এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী-খালের মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়।

এই সময়ে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশিরভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ ছাড়া এই সময়ে বন্য প্রাণিদেরও প্রজনন মৌসুম। তাই সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত। পরে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বৃদ্ধি করে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, বনের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আইআরএমপি‘র সুপারিশ অনুযায়ী আগামী তিন মাস সুন্দরবনে সকল ধরণের প্রবেশ বন্ধ থাকবে।এই সময়ে জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের পাশও বন্ধ থাকবে। কোনভাবে অবাঞ্চিত কেউ বনে প্রবেশ করতে পারবে না।

বন বিভাগের মতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে নানা নাম ও আকারের ৩৪৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরী এবং গেওয়া গাছের আধিক্য বেশি।

এছাড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বানর, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণি, ২৯০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ, ৩৫টি সরীসৃপ, ৮টি প্রজাতির উভচর প্রাণি রয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে ২ প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং ৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে ।

ইএইচ