ঝালকাঠিতে চাচার দায়ের কোপে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৪, ০৭:২০ পিএম

ঝালকাঠি শহরতলীর বিকনা এলাকায় ঝড়ের লাকড়ি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচার দায়ের কোপে মাদরাসাছাত্র নিহত হয়েছেন। নিহতের বাবা ও মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেলে ভরিত করা হয়েছে।

শনিবার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোস্তফা নামে একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

ওই এলাকার হুমায়ুন কবীর বাদল জানান, ঝড়ে পড়া লাকড়ি নিয়ে বৃহস্পতিবার তর্ক হয় চাচাতো ভাই আমীর হোসেন ও কবীর হাওলাদারের মধ্যে। তখন আমির হোসেনকে মারধর করলে হাতের আঙুল ভেঙে যায়। ডাকচিৎকারে স্ত্রী মুক্তা বেগম ও পুত্র মাহফুজ (১৯) বের হয়ে পাল্টা আঘাত করলে কবীরের মুখমণ্ডলে জখম হয়। এনিয়ে কবীর হাওলাদার ও আমীর হোসেন পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দেন।

শুক্রবার সকালে সদর থানার এসআই আরেফিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শনিবার বিকালে থানায় উভয়পক্ষকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেন। এ নিয়ে শনিবার সকালে কবীর হাওলাদার তার বোনজামাই মোস্তফার কাছ থেকে দাও নিয়ে তার ভাই মনির ও সাদ্দামকে সাথে নিয়ে দলবদ্ধভাবে আমীরের ঘরে ঢুকে প্রথমে মাদরাসা পড়ুয়া মাহফুজকে পেয়ে বুকে কোপ দেয়। পরে আমীর ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম বের হলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে কবির হাওলাদার।

এ সময় আমীরের প্রতিবন্ধী কন্যা সামনে গেলে তাকেও তলপেটে লাথি মেরে ফেলে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকেই সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহফুজকে মৃত ঘোষণা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য আমীর হোসেন ও মুক্তা বেগমকে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমীর ও মুক্তা বেগমও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে মোস্তফা নামে একজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ