কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ডাক্তারি কোন চাকরি নয়, এটা একটা সেবামূলক পেশা।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১তম ব্যাচের নবীন বরণ ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা ইমোশনাল হয়ে সুইসাইডের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সে মনে করেছে এ পৃথিবীটা আমার জন্য না আমি চলে গেলাম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনাদের বয়স কম। আপনাদের অনেক বন্ধু হবে। কিন্তু এই বন্ধু যেন ক্ষতির কারণ না হয়। আপনারা সবাই ডাক্তার হবেন। যাদেরকে আমরা রোগী বলি তারা কারো না কারো আত্মীয়। রোগী কিন্তু সবাই। এখানে কেউ আছে কি যে ডাক্তারের কাছে যান নাই? ফেরাউন মনে হয় ডাক্তারের কাছে যায় নাই অসুস্থ হয় নাই। আমাদের নবী রাসূলগণ সবাই অসুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশ ভাল মানুষের দেশ। এই দেশের মানুষ পরিবার পরিজন ত্যাগ করে যুদ্ধে গিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন বলেই আমরা এই দেশ পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধারাও আপনাদের কাছে আসবে চিকিৎসার জন্য। তাদেরকে ভাল ব্যবহারের মাধ্যমে সুচিকিৎসা দিতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মানুষ যখন অসুস্থ হয় তখন খুব অসহায় হয়ে পড়ে। আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব অনেক জায়গায়। কিন্তু সবচেয়ে বড় শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। মানুষ আপনাদের কাছে চিকিৎসা নিবে এটাই স্বাভাবিক। এই দেশের মানুষ এক সময় ৩ বেলা ভাত পায় নাই। এখন মানুষের হাতে টাকা আসছে। আমাদের সামর্থ্য হয়েছে আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য আপনাকে তৈরি হতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে তথা কিশোরগঞ্জে বর্তমানে খাদ্যের অভাব নাই। আমাদের এখানে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।
সবশেষে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতি বুধবার আমার সাথে কথা বলতে কোন আপয়েন্টমেন্ট লাগে না। বুধবারে আমি কোনো মিটিং রাখি না। চেষ্টা করি যারা আসে তাদেরকে সময় দিতে।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আ.ন.ম নৌশাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. এ এস এম শহিদুল্লাহ।
এ সময় করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা আলী, কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মজিবুর রহমান বেলাল, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চুসহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইএইচ