কক্সবাজারের পেকুয়ায় সড়কের উপরেই ঝুলন্ত টয়লেটের ছড়াছড়ি। এতে করে খোলা টয়লেটের পয়:প্রণালীতে পিচ্ছিল হয়েছে গ্রামীণ সড়ক। ফলে অন্তত ২শতাধিক পরিবারের বিপুল মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পায়খানার দূষিত পানিতে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়কের প্রায় ২শ মিটার। এতে করে গ্রামীণ জনপদের শত শত মানুষের হাঁটা চলা অনেকটা স্থবির হয়ে গেছে।
সড়কের পাশেই আছে অন্তত ছয়টি ঝুলন্ত ল্যাট্রিন। এসব ল্যাট্টিনে নেই পয়:প্রণালীর সুরক্ষিত ব্যবস্থা। পায়খানাগুলোর সঞ্চালন লাইন নেই। ফলে খোলা পায়খানার পয়:প্রণালি রাস্তায় এসে পড়ছে। এদিকে চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামায় চৈরভাঙ্গা স্টেশনের দক্ষিণ পাশে একটি সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা থেমে গেছে। বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে গেছে ওই সড়কটি। পায়খানার পয়:প্রণালি সড়কে পড়েছে। ফলে বৃষ্টির পানি ও পয়:প্রণালীর দূষিত পানি হাঁটু পরিমাণ হওয়ায় চৈরভাঙ্গা স্টেশনের দক্ষিণ পাশে বায়তুল মামুর জামে মসজিদের পশ্চিম ও দক্ষিণদিকে সড়কের অন্তত ২’শ মিটার দূষিত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, চৈরভাঙ্গার ফজল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত রশিদ আহমদের ছেলে খোকন, মৃত বশির আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, মৃত নুর আহমদের ছেলে আহমদ হোসাইন, মৃত নুরুল হকের ছেলে কফিল উদ্দিনসহ স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি আইনকে তোয়াক্কা না করে সড়কের উপরে অন্তত এক ডজন খোলা পায়খানা স্থাপন করে। তারা এ সব পায়খানা অনায়াসে ব্যবহার করছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই সড়ক দিয়ে লীজপাড়া, খাসপাড়া, চৈরভাঙ্গা অংশের অন্তত ৪ টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। চৈরভাঙ্গা স্টেশনের সাথে ওই সড়ক একমাত্র যাতায়াত মাধ্যম। খোলা ল্যাট্টিনের কারণে এখন যাতায়াত ব্যবস্থা থেমে গেছে। প্রায় ২শতাধিক পরিবার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। একদিকে দূষিত পানিতে সড়ক তলিয়ে গেছে। আরেক দিকে খোলা পায়খানার উৎকট দুর্গন্ধ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সাকিব হোসাইন, নোমান গণি, পল্লী চিকিৎসক আতিকুর রহমান, সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেকে জানান, খুবই দুর্ভোগের মধ্যে আছি। মানুষ হাঁটা চলা করতে পারে না। খোলা পায়খানার পানিতে সড়কের ২’শ মিটার তলিয়ে গেছে। মসজিদে নামাজ পড়তে আসতে পারে না মুসল্লীরা। আমরা প্রশাসন বরাবর গণস্বাক্ষর করে স্মারকলিপিসহ লিখিত অভিযোগ দেব।
পেকুয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম, বাহাদুর শাহ জানান, এ সড়কটি ফ্ল্যাট সলিং দ্বারা সংস্কার হয়েছে। আমি চৌকিদার পাঠাবো। পেকুয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুর পেয়ারা বেগম জানান, খোলা পায়খানা স্বাস্থ্যের পরিপন্থি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো। অবশ্যই এ সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে।
বিআরইউ