প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে অন্তঃসত্ত্বা নারী আহত

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় প্রেমিকের (ডিভোর্সপ্রাপ্ত দ্বিতীয় স্বামী) ছুরিকাঘাতে ফাতেমা আক্তার মুন্নি নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী আহত হয়েছেন।

বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর খাইরুননেসা নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে রিকশা থেকে নামিয়ে প্রেমিক শরিফুল শেখ ইমরান ছুরিকাঘাত করে ওই নারীকে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের তিলই এলাকার বিল্লাল হোসেন মৃধার সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমা আক্তার মুন্নীর। তাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তাদের সংসারে দুই সন্তান। তাছাড়া মুন্নী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার চর পদ্মবিলা এলাকার শরিফুল শেখ ইমরানের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মুন্নীর। ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট ইমরান ও মুন্নী পালিয়ে বিয়ে করেন। এর আগে মুন্নীকে না জানিয়ে প্রেমিক ইমরান আরেকটি বিয়ে করেছেন।

এ বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহের কারণে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি তাদের ডিভোর্স হয়। ডির্ভোসের পরও তারা যোগাযোগ সচল রাখেন। বুধবার প্রেমিক শরিফুল শেখ ইমরান মুন্নীকে ফোন কল করে স্থানীয় বুড়িরহাট বাজারে এনে রিকশায় করে কুতুবপুর এলাকায় নিয়ে যান। কুতুবপুর খাইরুননেসা নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে মুন্নীকে রিকশা থেকে নামিয়ে ছুরি দিয়ে তলপেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় ইমরান।

প্রত্যক্ষদর্শী হুমায়ুন কবির বলেন, চিৎকারের শব্দ পেয়ে আমি যাই। যেয়ে দেখি হাত ও পেট দিয়ে রক্ত পরছে। আশেপাশের সবাই দেখছে কেউ তাকে সাহায্য করছে না। পরে আমি এক অটোরিকশা করে ওই নারীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. অমিত সেনগুপ্ত বলেন, স্থানীয়রা এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার বাম হাত, বাম কান ও তলপেটে বড় ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। তবে তলপেট ফুটো হয়ে খাদ্যনালি বাহিরে চলে এসেছে। রোগীর বক্তব্য অনুযায়ী তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ জন্য তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে ঢাকা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ