কোরবানি ঈদ সামনে রেখে শেষে মুহূর্তে বরিশালে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা।
তবে, গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা চড়া থাকবে বলে জানান খামারিরা। ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ১০ দিন। বাসা বাড়ি ও খামারে লালনপালন করা কোরবানির পশুর বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন খামারিরা। বরিশালে খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণের জন্য খাওয়াচ্ছেন ঘাস, ভুট্টা, খৈল, ভুসিসহ পুষ্টিকর সব খাবার।
এছাড়া এমইপি ফার্মে দেশি, দেশাল, আরসিসি, হাসা, শাহীওয়াল জাতের ২২০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে কোরবানি ঈদে বিক্রির উদ্দেশ্যে। এক একটি গরুর ওজন আড়াইশো থেকে ৭শ’ কেজি পর্যন্ত। ঈদুল আজহায় দেশি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।
ইতিমধ্যে বেশিরভাগ খামারের অধিকাংশ গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। সপ্তাহ খানেক পর এসব গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে হাটে তোলা হবে। তবে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে সে তুলনায় কোরবানির পশুর দাম এ বছরও চড়া থাকবে বলে জানান খামারিরা।
খামারের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, দেশীয় পদ্ধতির খাবার খাইয়ে গবাদিপশু মোটাতাজা করছেন তারা।
বরিশাল এমইপিএগ্রোর ম্যানেজার রাফিউর রহমান ওমি জানান, কোরবানির জন্য তাদের খামারে প্রস্তুত রয়েছ ২২০টি গরু। মোটাতাজা করতে দেশীয় পদ্ধতির খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের খামারের অর্ধেক গরুই বিক্রি হয়েছে।
বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মকর্তা নুরুল আলম জানিয়েছেন, বরিশাল জেলায় চাহিদার চেয়েও এবছর কোরবানির পশু অতিরিক্ত আছে। খামারিদের মোটাতাজাকরণের জন্য দেওয়া হয়েছে নানা পরামর্শ। যাতে কোন অসাধুব্যাক্তি গরু ইস্টু বিষ্টু কারণে রাসায়নিক ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ রয়েছে। পাশাপাশি কোরবানির পশুর হাটে ৩৪টি ভেটেরিনারি টিম প্রস্তুত রেখেছি। তারা গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন।
তিনি আরও বলেন, দেশীয় পদ্ধতির বাইরে এবার জেলায় কেউ গবাদিপশু মোটাতাজা করছে না। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে দেখভাল করছে।
বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় চলতি বছর কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৯৪৭টি পশু। কিন্তু প্রস্তুত রয়েছে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৫৭টি। এরমধ্যে গরু ষাঁড়, বলদ, গাভি মিলে রয়েছে ৯১ হাজার ১৮৭টি, মহিষ রয়েছে ৬৬১টি ও ছাগল রয়েছে ২২ হাজার ৫৯০টি, ভেড়া ৭৪টি, অন্যান্য ৪৫টি।
ইএইচ