কোরবানির ঈদকে ঘিরে অনেক পেশাদার ও শৌখিন খামারিরাই তৈরি করে থাকেন বিশাল আকৃতির পশু। নামও দিয়ে থাকেন বাহারী ধরনের। সেই রকমই এক বিশাল আকৃতির গরু চার বছর ধরে লালন পালন করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ঘোরশাল নতুনপাড়া গ্রামের ঠান্ডু প্রামানিক। তার পালনকৃত দানবাকৃতির গরুটির নাম দিয়েছেন নাতিবাবু। সামনের কোরবানিতে বৃহৎ আকারের এই নাতি বাবুই কাঁপাবে দেশ।
এদিকে ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকটি দিন। এরই মধ্যে শাহজাদপুর উপজেলার নিভৃত গ্রামের একটি খামারে বেড়ে ওঠা বিশাল আকৃতির নাতিবাবু এখন আলোচনায়। লম্বায় সাড়ে নয় ফিট ও উচ্চতায় ছয় ফিট হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান শংকর জাতের এই গরুটি নজর কেড়েছে ক্রেতাদের।
চার বছর আগে শখের বশে গরুটি কেনেন শাহজাদপুর উপজেলার ঘোরাশাল নতুনপাড়া গ্রামের ঠান্ডু প্রামাণিক। গরুটির বর্তমান ওজন ৪৩ মণ। নিজের বাড়িতে ফার্ম করে সম্পূর্ণ দেশী খাবার- কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুসি, খড়, সাইলেজ ইত্যাদি খাইয়ে হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে নাতিবাবুকে।
গরুর মালিক ঠান্ডু প্রামাণিক জানিয়েছেন, নাতির মতো আদর করে গরুটিকে লালনপালন করেছেন বলেই গরুটির নাম দিয়েছেন নাতিবাবু। এবার ঈদেই ছেড়ে দিতে হবে নাতি বাবুকে। তাই কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরুর ব্যাপারী এসে দেখছে গরুটি। দানবাকৃতির নাতি বাবুর দাম হাঁকানো হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ বড় আকারের গরু পালনকারীদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বিল্লাল হোসেন।
ইএইচ