গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আগামী দিনে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জন্য সম্ভাবনাময় ফসল হিসেবে চাষ করে কৃষির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ লক্ষ্যে গত দুই বছর ধরে পরীক্ষামূলক চাষ হচ্ছে। এ বছর ভালো ফলাফল পাওয়ার আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে বালিয়াকান্দিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের মাঠ পরিদর্শন করেছেন লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচির কর্মসূচি পরিচালক রেজওয়ানা রহমান ও মসলা গবেষণার কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলাউদ্দিন সর্দার ও বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আগামী দিনে বালিয়াকান্দি উপজেলার জন্য সম্ভাবনাময় ফসল হিসাবে চাষ করে কৃষির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়। এ বছর উপজেলার বহরপুর, জামালপুর ও বালিয়াকান্দি ইউনিয়নে ১০০ শতাংশ জমিতে ১০জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছেন। নারুয়ার কয়েকজন কৃষক ব্যক্তি উদ্যোগে চাষ করছেন।
বহরপুর ইউনিয়নের বাঘুটিয়ার কৃষক রতন কুমার রায়, বালিয়াকান্দির মো. মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুপ্রেরণায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। আশা করছি এ বছর ভালো ফলন হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সম্ভাবনাময় বালিয়াকান্দির কৃষিতে কৃষকের লাভজনক ফসল চাষে ‘আছি কৃষকের পাশে কৃষির সাথে’ এ স্লোগান নিয়ে কাজ করছি। গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ গত বছর থেকে শুরু করেছি। এ বছর কৃষি অফিসের উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে চাষ হচ্ছে। আশা করছি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঘুরে দাঁড়াবে বালিয়াকান্দির কৃষি অর্থনীতি।
ইএইচ