হাটহাজারীতে আগুনে পুড়ল পাঁচটি গরু

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ১২:৫০ পিএম

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গোয়ালঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মো. আব্দুল মালেক (৫৮) নামে এক অসহায় কৃষকের ৫টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে সংকটাপন্ন রয়েছে আরও একটি গরু।

রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হেলাল চৌধুরীপাড়া এলাকার হলিলুর রহমান মুন্সির বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে অন্তত দশ থেকে ১২ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মালেক।

জানা যায়, আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে কৃষিকাজ ও চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। অভাব অনটনের মধ্যদিয়ে চলছে তার দিনকাল। কিছুটা স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় চাষাবাদের পাশাপাশি গরু লালনপালন করতে শুরু করে। ধারদেনা ও কষ্টার্জিত অর্থ দিয়েই গরু কিনে। নিজে জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করলেও মেরামত করে মজবুত রেখেছে গোয়াল ঘরটি।

ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মালেক আমার সংবাদকে বলেন, আমার সন্তানের মতো ৬টি গরু ছিল। রাত ২টার দিকে শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে দেখি গোয়ালঘরের টিনের ছাউনি লাল হয়ে আছে। সাহস করে কোনোরকম সামনে গিয়ে দরজা খুলে দেখি ভিতরে আগুন। আগুনের জন্য ভিতরে ঢুকতে পারিনি। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখা সমস্ত ঘরে ছড়িয়ে যায়। গরুগুলো গোয়ালঘর থেকে বের করাও সম্ভব হয়নি। আমার ৬টি গরুর মধ্যে ৫টি গরু আগুন পুড়ে ছটপট করতে করতে মারা গেছে। আরেকটি গরু বেঁচে আছে। তাও তার শরীরের অধিকাংশ পুড়ে গেছে। ডাক্তার বলছে সেটাও বাঁচবে না। বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে গরুটি দেখে আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছি না।

কোরবানি দেওয়ার জন্য যেই গরুটি কিনেছিলাম সেটা সুস্থ আছে। এখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার আর কিছু নাই। আমি কীভাবে বাঁচবো জানি না। গরুর দুধ বিক্রি করেও আমার টানাপোড়নের সংসারে কিছুটা জোগান দিতো গরুগুলো।

ইএইচ