কোরবানির হাট নিয়ে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষ, আহত ১০

আমার সংবাদ ডেস্ক: প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কোরবানির পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে ৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোঁড়া এবং পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (১২ জুন) বিকেলে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের মজুমদার বাজার সংলগ্ন পরিত্যক্ত জমিতে ঘটনাটি ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) ধ্রব জ্যোতির্ময় গোপ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম, থানার ওসি মো. মাহবুব আলম প্রমুখ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় হাট-বাজার চলে আসছিল। কোরবানি উপলক্ষ্যে বুধবার পশুর হাট বাসানো হয়। পশুর হাট অবৈধভাবে বসানো হয়েছে মর্মে বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পশুর হাট পণ্ড করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ রাউন্ড শটগানের গুলি বিনিময় করেন। এতে এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই মাসুদ রানা, কনস্টোবল মনির হোসেন, সোলায়মান হোসেনসহ ১২ জন আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পশু কিনতে আসা গ্রাহক সুজন মিয়া জানান, পুলিশ অন্যায়ভাবে হাটে প্রবেশ করে পশুর হাট পণ্ড করে দেয়। এতে করে কয়েকটি গরু ও ছাগল হারিয়ে গিয়েছে। এছাড়া অনেকের টাকা পয়সা ও হাতে থাকা মোবাইল ফোন খোয়া গেছে।

হাট ইজারাদার মাইদুল ইসলাম জানান, পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ নেই, সেই কারণে কোরবানির পশুরহাট বসানো হয়েছে। তারপরও কেন পশুর হাট বসানো যাবে না, সেই মর্মে হাইকোর্টের একটি লিগ্যাল নোটিশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেওয়া হয়েছে। এরপরও বেআইনিভাবে পশুর হাট পণ্ড করে দেন পুলিশ।

থানার ওসি মো. মাহবুব আলম জানান, অনলাইন সেবা ৯৯৯-এ বিভিন্ন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কোরবানির পশুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু জনতা পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে এবং ৪ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ রাউন্ড শটগানের গুলি বিনিময় করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম জানান, কেন মজুমদার হাটের ইজারাদার কোরবানির পশুর হাট বসাতে পারবেন না, সে মর্মে একটি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপির মতামতের জন্য পাঠিয়েছি। কিন্তু মতামত না পাওয়ার আগেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিআরইউ