মঠবাড়িয়ায় ৩৫ যুবকের মিললো কর্মসংস্থান

৪টি দিয়ে ‍শুরু, কোরবানির হাটে বিক্রি হচ্ছে ১১০টি গরু

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি : প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ০৩:০৯ পিএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার প্রত্যন্ত এলাকার ছোট্ট একটি গ্রাম ‘ছোট মাছুয়া’। এখানেই গড়ে তুলেছেন হুমায়ূন কবিরের শখের খামার গাজী এগ্রো ফার্ম। নিজের জমানো কিছু টাকা দিয়ে ২০০০ সালে ৪টি গরু কিনে শুরু করে তা এখন দাঁড়িয়েছে ২৬০ টিতে।

হুমায়ূনের কবিরের চলার পথ সহজও ছিল না। শুরুর দিকে হোঁচট খেতে হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু তাতে সে হাল ছাড়েননি, পবিারের সহযোগিতা ও পরামর্শে আবারও সে শুরু করেছেন গরুর খামারের কাজ। এখন সফলতার তুঙ্গে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, এ বছর কোরবানি ঈদে বিক্রি হচ্ছে ১১০টি গরু। শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দুরে উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রাস্তার পাশেই দেখা মিলবে এ বিশাল ফার্মের। তার এ এগ্রোফার্মের এখন দেখাশোনা করে তারই ছেলে নাসির উদ্দিন। ফার্মে ইন্ডিয়ান বোল্ডার, অস্ট্রেলিয়ান, নেপালিসহ বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে।

এ ফার্মে বিশালাকৃতির ৫টি অস্ট্রেলিয়ান গরু রয়েছে। দুই বছরে যার ওজন হয়েছে কোনটির ৩০ মন, কোনটির ২৮ মন। যা এই কোরবানির ঈদেই বিক্রি চলছে। এগুলো সংগ্রহ করেছেন তিনি উত্তর অঞ্চলের রাজশাহী, নওগাঁ ও নাটোর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে।

খামারের ইনচার্জ শরিফুল আলম নান্নু জানান, এখানে যে গরু আছে সেগুলো মোটাতাজা করণের জন্য কোন প্রকার ওষুধ ব্যবহার করা হয় না। শুধু দানাদার যুক্ত খাবার দেওয়া হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি এ খামারটিতে রয়েছে ৩৫ জন যুবকের কর্মসংস্থান। তারা সার্বক্ষণিক খামারের যত্ন নেন। গরুর খাওয়ার জন্য খড়কুটো কাটার জন্য রয়েছে আধুনিক দুটি মেশিন।

হুমায়ূন কবিরের ছেলে নাসির উদ্দিন বলেন, আমার বাবার শখের বসে ৪টি গরু নিয়ে করা এ ফার্মে এখন আল্লাহর রহমতে ২৬০ টি গরু। এ বছর কোরবানির বাজারের জন্য প্রস্তুত ১১০ টি বিক্রি চলছে। প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে এ গরুগুলিকে। ভালো দামও পাচ্ছি।

তিনি আরও জানান, এ ফার্মে শুধু গরু লালন-পালনই নয়, ২০ বিঘা জমির এ ফার্মে রয়েছে বিশার ড্রাগন ফল ও সবজি বাগান। এখান থেকে প্রতি মাসে প্রায় এক লাখ টাকা আয় হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুর আলম বলেন, ছোট মাছুয়াতে গড়ে ওঠা খামারটি একটি আদর্শ খামার। কোন মোটাতাজা করণ ওষুধ ছাড়াই দানাদার খাবার দিয়ে এখানে গরু লালনপালন করা হয়।

তিনি আরও জানান, কোরবানি উপলক্ষ্যে মঠবাড়িয়া উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ১২৮৭ পারিবারিক ও বাণিজ্যিক খামারে প্রায় ৯ হাজার ৭০০টি পশু লালনপালন হচ্ছে। যা স্থানীয়দের চাহিদা পূরণ করে পাশাপাশি অন্য উপজেলায়ও বিক্রির জন্য নিয়া যাওয়া যাবে।

বিআরইউ