তালগাছপ্রেমী চিত্তরঞ্জন এবার টিনসহ নগদ অর্থ পেলেন

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

১৬ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে তালগাছ লাগান যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের চিত্তরঞ্জন দাস।

২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রায় তিন লাখ (দুই লাখ ৮৮ হাজার) তালের বীজ রোপণ করেছেন অভয়নগর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন, নওয়াপাড়া পৌর এলাকা ও মণিরামপুর উপজেলার ৪২টি ছোট-বড় সড়কের দুই পাশে। এছাড়া ৫৬ হাজার খেজুর গাছের বীজও রোপণ করেছেন তিনি।

তালগাছপ্রেমী চিত্তরঞ্জন দাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর চিত্তরঞ্জন দাসকে সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ।

গত ১৭ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাঁর কার্যালয়ে ডেকে চিত্তরঞ্জন দাসের হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন। এবার সেই চিত্তরঞ্জন দাসের বাড়িতে গিয়ে তিন বান (২৪টি) ৯ ফুটে টিনসহ ঘর সংস্কার বাবদ নগদ ৯ হাজার টাকা তুলে দেন নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল দাস, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাহিদ মাসুদ তাজ, ইউএনও অফিসের সিএ সিধু বিশ্বাস।

নতুন টিন ও নগদ অর্থ পাওয়ার পর চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, সংবাদ প্রকাশ করার পর থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি। প্রথমে বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়েছি। এবার ঘর সংস্কারের জন্য তিন বান নতুন টিন ও নগদ টাকা পেয়েছি। পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। আজ আমার পরিবারের সকলে আনন্দিত এবং খুশি হয়েছে। এজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারকে ধন্যবাদ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ বলেন, তালগাছপ্রেমী চিত্তরঞ্জন দাসকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধোপাদী গ্রামে চিত্তরঞ্জনের বাড়িতে গিয়ে তার বসতঘর সংস্কারের জন্য তিন বান নতুন টিন ও নগদ ৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও তার পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।

ইএইচ